0
ডোমেইন কি ? (What is Domain)
Posted by:admin
February 18, 2019
in:Domain, Hosting, iT news, Tech Debates

ডোমেইন এমন একটি ইউনিক ঠিকানা যা ইন্টারনেট জগতে ব্যবহার করা হয় । সাধারন ভাবে বলা যায়, ইন্টারনেট জগতে আপনাকে বা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চিহ্নিত করার ঠিকানাই ডোমেইন নেম ।একজন মানুষ পৃথিবীতে আসলে মানুষটিকে চেনার প্রথম শর্ত হিসেবে যেমন একটি নামের দরকার হয় তেমনি ওয়েবে আপনাকে বা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চিহ্নিত করার জন্য একটি ইউনিক নাম ব্যবহার হয় । আর এই নাম টি হচ্ছে ডোমেইন নেম । শুধু নিজেস্য বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না, ডোমেই নেম হতে পারে যে কোন বিষয়াদির উপর বিত্তি করে।আপনি যখন একটি ওয়েব সাইট তৈরির কথা চিন্তা করবেন তখন, ওয়েব সাইটির পরিচিতির জন্য অবশ্যই একটি নাম বা ঠিকানা দিতে হবে আর সেইটাই ডোমেইন ।
একটি ওয়েবসাইট এর সকল ফাইল একটি সার্ভার (কম্পিউটার) এ থাকে। প্রত্যেক সার্ভার এর একটি নির্দিষ্ট IP Address (Internet Protocol Address) থাকে। যার মাধ্যমে ঐ সার্ভারকে ইন্টারনেট এ খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন একটি ওয়েবসাইট এর সার্ভার এর IP Address হতে পারেঃ 192.168.0.1
কিন্তু এভাবে তো আর সব ওয়েবসাইট এর IP Address মনে রাখা সম্ভব না। এই সমস্যা দূর করে দেয় Domain ।
একটা Domain এর জন্য IP Address সেট করা থাকে। ফলে সেই Domain লোড করলে ঐ ওয়েবসাইট লোড হয়। shopnoit.com এটা হচ্ছে আমাদের সাইট এর Domain । এটা লোড করলেই আমাদের ওয়েবসাইট লোড হবে।
প্রত্যেকটি Domain প্রধানত ২টি অংশ নিয়ে গঠিত। একটি হচ্ছে Domain Name এবং আরেকটি Domain Suffix ।
shopnoit.com এই ডোমেইন এর Shopnoit হচ্ছে Domain Name এবং .com হচ্ছে Domain Suffix ।
Domain Name এ সর্বনিম্ন ৩ টি অক্ষর থাকতে হবে আর সর্বোচ্চ ৬৩ টি অক্ষর থাকতে পারবে। শুধু ইংরেজি অক্ষর, ০-৯ পর্যন্ত সংখ্যা আর “-” (Hyphen) Domain Name এর ভিতর ব্যাবহার করা যাবে।
ডোমেইনের বিভিন্ন ধরনঃ
Domain আবার কয়েক ধরনের হয়ে থাকে।
TLD = Top Level Domain । যেমনঃ .com, .org, .net, .info, .pw, .me ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে সর্বোচ্চ লেভেল এর Domain ।
gTLD = Generic Top Level Domain । Top Level Domain গুলোর মধ্যে যেগুলো কোন দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট না তাদেরকে gTLD বলে। .com, .org, .net, .info ইত্যাদি কিছু সংখ্যক Generic Top Level Domain । আর .in, .pk ইত্যাদি Generic Top Level Domain নয়।
SLD = Sub Level Domain: Domain Name এর আগে কিছু থাকলে তাকে Sub Level Domain বলে। যেমন domain.shopnoit.com এখানে blog. হচ্ছে Sub Level Domain । একটা Domain এ একাধিক Sub Level Domain থাকতে পারে। যেমন m.domain.shopnoit.com ইত্যাদি ।
ccTLD = Country Code Top Level Domain । বিভিন্ন দেশের নিজস্ব যেই ডোমেইনগুলো থাকে তারা হচ্ছে Country Code Top Level Domain । যেমন .bd(Bangladesh), .pk (Pakistan), .us (America), .uk (United Kingdom), .in (India) ইত্যাদি।
টপ লেভেল ডোমেইনঃ .com .net .org .info .biz .xyz ইত্যাদি ডোমেইনকে টপ লেভেল ডোমেইন বলা হয়। (এইসব ডোমেইন কিনতে হয়)
ফ্রী ডোমেইনঃ .blog.com .xtgem.com .blogspot.com, wordpress.com, weebly.com ইত্যাদি ডোমেইনকে ফ্রী ডোমেইন বলা হয়। (এইসব ডোমেইন ফ্রীতে পাওয়া যায়,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলা সাবডোমেইন হয়)
একটি টপ লেভেল ডোমেইনের দাম ১ বছরের জন্য 800-1500 টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ধন্যবাদ কষ্ট করে আর্টিকেল টি পড়ার জন্যে ।
আমাদের কাছ থেকে ডোমেইন নিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন:
☎ বিস্তারিত জানতে বা কোন প্রশ্ন থাকলে
SHOPNO IT
Dhanmondi Office:
105,Sukrabad
Dhaka-1207, Bangladesh
Web: www.shopnoit.com
Email: sales@shopnoit.com
Facebook.com/shopnoitbd
Call Us:
☎ +88 01799499200
☎ +88 09639199200

সাধারনত হোস্টিং কয়েক ধরনের হতে পারে
১.বিনামূল্যে হোস্টিং করা (Free hosting)
ছোটখাট ব্যাক্তিগত ওয়েব সাইটের জন্য এই হোস্টিং ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। Bandwidth/Monthly Traffic খুব কম থাকে।নিরাপত্তা শক্ত হয়না। কোন ডোমেইন নামও পাবেননা।
২. শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting)
এই হোস্টিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত। আমরা যে হোস্টিং গুলো ব্যাবহার করছি বা সাধারনত হোস্টিং প্রোভাইডাররা যে হোস্টিং অফার করে থাকে তা সবই শেয়ারড হোস্টিং। প্রফেশনাল বা কোন বড় সাইটের একটা স্বয়ংসম্পূর্ন সার্ভারের নির্দিষ্ট পরিমান সার্ভিস দরকার। এই সমস্ত সুবিধা নিজস্ব সার্ভারে নিয়ে আসতে গেলে বেশ ব্যায়বহুল হয়ে যায়। এদের জন্য Shared Hosting উপযুক্ত। এই সার্ভারের নিরাপত্তা কম থাকে কারন এখানে একসাথে অনেক Client এর সাইট(১০ থেকে শুরু করে আরও বেশি) একসাথে থাকে। এছাড়া আনলিমিটেড ডেটাবেস, ইমেইল, ব্যান্ডওয়াইডথ এসব পাবেননা, সব সীমিত। খুব ভাল হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছে হোস্টিং করালে শেয়ারড হোস্টিং প্যাকেজে সর্বোচ্চ নিচের সুবিধা গুলি পেতে পারেন
— ১০০% আপটাইম
— আনলিমিটেড ডিস্ক স্পেস (আসলে ১ লক্ষ ফাইল পার হলে আর আপলোড করতে দেয়না)
— আনলিমিটেড ব্যান্ডওয়াইডথ
— আনলিমিটেড ডেটাবেস
— ফ্রি cPanel
— নিজের ডোমেইনের জন্য কোন ডেডিকেটেড আইপি পাবেন না, কোন সফটওয়্যার ইনস্টল দিতে পারবেন না (সার্ভারে) এছাড়া আরো সীমাবদ্ধতা আছে।
আসলে তাদের মুল সার্ভারটির CPU এর ২৫% ভাগ বেশি ব্যবহার করে ফেললে নানান টালবাহানা শুরু করে। যেহেতু সব আনলিমিটেড লেখা থাকে তাই সরাসরি বলবেনা যে আপনোকে ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে হবে। যখনি আপনার সাইটে প্রচুর হিট পড়বে তখনি ইনিয়ে বিনিয়ে নানান কথা এবং কাজের মাধ্যমে বুঝাতে চাইবে তারাতারি ডেডিকেটেড সার্ভার নিন। যদি না বোঝেন তাহলে আস্তে আস্তে সাইট বন্ধ/ডাউন করে রাখবে।
এরুপ একটি প্যাকেজ নিলে বছরে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ পড়তে পারে।
৩. ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting)
এই হোস্টিং এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার প্রয়োজন। এটা অনেক ব্যায়বহুল। যদি আপনার ওয়েবসাইট অনেক অনেক বড় হয় এবং শক্ত নিরাপত্তা দরকার তখন এই হোস্টিং করা চলে। এখানে আপনি আপনার খরচ পরিমান হার্ডওয়্যার পাবেন। যত ব্যাস্ত সাইট হবে তত বেশি পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যার লাগবে। এই হোস্টিং ২ প্রকার
Managed Hosting: হোস্টিং প্রোভাইডাররাই সব করে দেবে যেমন নিরাপত্তা, সার্ভার সেটাপ, নেটওয়ার্ক কনফিগার, কোন সফটওয়ার ইনস্টল দেয়া ইত্যাদি এজন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হবে।
Unmanaged Hosting: আপনি যদি Server administrator হন অর্থ্যাৎ আপনি যদি নিজেই আপনার এই ওয়েব সার্ভারের সকল কাজ করে নিতে পারেন তাহলে এটা হবে Unmanaged Hosting. এতে আপনার অনেক অর্থ সেভ হবে। সার্ভার ম্যানেজ করা শেখা যায়। ওয়েবে হাজারটা টিউটোরিয়াল আছে ইচ্ছে করলে শিখে নিজের কাজ নিজেই চালাতে পারেন।
একটা ডেডিকেটেড হোস্টিং প্যাকেজের বর্ননা এবং উদাহরন
Intel Xeon Quad Core 2.5GHz (8 threads) : ৮ কোরের প্রসেসর ২.৫ গিগাহার্জ ক্লক রেট।
500 Mbps Uplink : ৫০০ মেগাবিট ডেটা সেকেন্ডে ট্রান্সফার করতে পারবে।
8 GB Ram : RAM ৮ জিবি
1,000 GB RAID-1 Drives : ১০০০ জিবি হার্ডডিস্ক RAID 1 প্রটেকশন
20 TB Bandwidth : ২০ টেরাবাইট অর্থ্যাৎ ২০,০০০ জিবি মাসিক ব্যান্ডওয়াইডথ (বা এই পরিমান ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবেন)
4 Dedicated IPs : ৪ টা ডেডিকেটেড আইপি
WHM, cPanel ফ্রি পাবেন, আনলিমিটেড ডেটাবেস তৈরী করতে পারবেন এবং আরো অনেক সুবিধা পাবেন।
এরুপ একটি হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকার মত লাগবে।
৪. ভিপিএস বা VPS (Vertual Private Server) হোস্টিং
শেয়ারড আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মাঝামাঝি হল ভিপিএস হোস্টিং। ডেডিকেটেড সার্ভারে সব হার্ডওয়্যার রিসোর্স একা আপনাকে দিয়ে দিবে এবং আপনার সাইট একটি সার্ভারে থাকবে। আর শেয়ারড হোস্টিং এ আপনার সাইটের সাথে থাকবে আরো হাজারটা সাইট। বিস্তারিত উপরেই আছে। ভিপিএস হোস্টিং এ সাধারনত একটা ডেডিকেটেড সার্ভার কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়। যেমন ১৬ জিবি র্যামের একটা সার্ভার আপনাকে দিল ৪ জিবি এবং বাকিগুলি আরো ৩ জনকে দিল এভাবে সব রিসোর্স ভাগ/সীমাবদ্ধ করে দেয়। ডেডিকেটেড সার্ভারের মতই মোটামুটি নিজের মত যেকোন সফটওয়্যার ইনস্টল দেয়া যায়। সাধারনত তখন এরুপ হোস্টিং প্যাকেজ নিবেন যখন একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের সব রিসোর্স আপনার লাগবেনা, তাহলে কাজও হল কিছু অর্থ সেভ হল।

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন? আমিও আপনাদের দোয়াতে ভালো আছি, আজ আপনদের সাথে শেয়ার করবো হোস্টিং কি?
বেশির ভাগ লোকই ডোমেইন কি তা জানে (আপনি যদি না জানেন তাহলে এই পোষ্টটি দেখুন) তবে হোস্টিং কি তা বুঝতে পারে না। আপনি যদি একটি ডোমেইন কিনেন অবশ্যই তার জন্য একটি হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি একটি ডোমেইন কিনলেন মানে ইন্টারনেটে আপনি একটি স্থান কিনলেন, এখন আপনার ডোমেইনটিকে ২৪/৭ অনলাইনে রাখতে হবে। এর জন্য দরকার আপনার হোস্টিং কোম্পানি। কোন তথ্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আজকের কম্পিউটার ব্যবহারকারী মাত্রই ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত আছেন। সহজ ভাষায় বলা যায়, ওয়েবসাইট হল আপনার তথ্যকে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার রাস্তা- সেটা টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়া (যেমনঃ ছবি, অডিও বা ভিডিও) যে কোন ধরনের হতে পারে। ওয়েবসাইটে সেগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা ওয়েব ডেভেলপারের কাজ। আর আপনার ওয়েবসাইটটি অন্যদের দেখার জন্য উপযোগী করাই ওয়েব হোস্টিং নামে পরিচিত ।
আপনার ওয়েবসাইটটিকে যদি তুলনা করা হয় আপনার প্রতিষ্ঠানের অফিস বিল্ডিং হিসাবে, তবে তার তথ্য বা কনটেন্ট হবে এর আসবাবপত্র। আর ওয়েবসাইট ডেভেলপ করাকে তুলনা করা যাবে বাড়িটি তৈরি করার সাথে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট হোস্টিংকে তুলনা করা যায় আপনার অফিস বিল্ডিংয়ের জন্য জায়গা কেনা এবং সে জায়গায় বাড়িটি তৈরি করার সাথে। তবেই ভিজিটররা ওয়েবসাইটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। কোন ওয়েব সাইট যে জায়গা জুরে থাকবে সেটাই ওই সাইটের হোস্টিং। আমরা দেখি যেকোন ওয়েব সাইট কিছু টেক্সট এবং মাল্টিমিডিয়া (Picture / Video) দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এই গুলা যে জায়গা বা BIT দখল করে তাকে ওই সাইটের হোস্টিং বলে। তবে সব থেকে ভাল হয় Domain and Hosting উদাহরন দিয়ে বোঝান যায়।
ধরুন…
1/ আপনার একটি বাড়ি আছে।
2/ বাড়িটি ১ একর জমির উপর আছে।
3/ বাড়িটি ঠিকানা 500/5 ধানমন্ডি, ঢাকা।
ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে বলতে গলে
১-আপনার বাড়ি টায় আপনার সাইটের কনটেন্ট
২-বাড়ির জমি হচ্ছে আপনার ওয়েব সাইটের হোস্টিং
৩-বাড়ির ঠিকানা হল ওয়েব সাইটের ডোমেইন
বিভিন্ন হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা সাইট হোস্টিং করে থাকে। আপনার যেই হোস্টিং প্যাকেজটি ভালো লাগে আপনি সেটি কিনতে পারেন।
কিছু হোস্টিং সাইটের ঠিকানা: www.shopnoit.com
www.godaddy.com ইত্যাদি।
হেস্টিং কয়েক ধরনের হতে পারে যেমন: Shared Hosting, Dedicated Hosting, Vertual Private Server ইত্যাদি, আরো বিস্তারীত জানতে এই পোষ্টটি দেখুন: হোস্টিং এর ধরনে (Hosting Type)